শেষ কবে কবিতা লিখেছি?
নত আঙুলে, নীল কলমে
সবুজ পাতায়, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমিও নেই!
নইতো রোজ কবিতা লেখার ঝামেলা;
রোজ নতুন অভিজ্ঞতা ফিনিক বেদনা
আমার জন্য ভালই হয়েছে।
শোক নেই, বিশাক্ত স্মৃতি নেই
সেই চাঁদের হাসি খানাও নেই
মানে তোমার হাসি!
শেষ কবে বিকেলে হেঁটেছি
পথ মেপে, গিরিখাত
পাহাড় চূড়ায়, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমি নেই;
নইতো রোজ টি-শার্টের জন্য চিন্তা
পুরনো জুতার দুর্গন্ধের জন্য চিন্তা
তোমার জন্য ভালোই হয়েছে;
অপেক্ষা নেই, মাথায় রোদ নেই
রাতের জন্য কোন ভয়ও নেই
সাপ, বিচ্ছুর ভয়।
শেষ কবে রাত গুনেছি
সুক তারা, সাত তারা দেখে
মাঝ রাতে, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমি নেই;
নইতো তোমার গানের জন্য আব্দার
লুকোচুরি খেলার জন্য রাগ অভিমান
আমার জন্য ভালোই হয়েছে;
খেলতে নেই, মিথ্যে বলতে নেই
আবার তোমাকে হারাবার ভয়ও নেই
অন্য খানে, অন্য জগতে!
শেষ কবে আগস্টের রাতে হেঁটেছি
জোছনা মেখে, স্বপ্ন শহর ভেবে
ভেজা ঘাসে, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমিও নেই;
নইতো তোমার ছলনাকর পায়ে ব্যথা
দুষ্টু সুলভ কাঁধে ঘুমিয়ে পড়া
এখন এখানে এ সব নেই
তুমি নেই, সেই পৃথিবী নেই
তোমার চোখে দেখা সে জোছনা নেই
সে জীবনও নেই!
অনেক বছর কেটে গেছে
আমি ভাল আছি। এই যে দেখ
আমার ছিলে যাওয়া মাংস গুলো নেই
যে গুলো দেখে তুমি কেঁদেছিলে
ওগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে
খটখটে অস্থিমজ্জা এখন;
পোকামাকড়ের নিত্যদিনের খাবার
তুমিই একদিন আমায় খেতে চেয়েছিল
অথচ আজ দেখ!
এখানে রাত মানেই দিন
তাই ঘুমাতে হয় না
তৃষ্ণা মিটাতে হয় না
খাবার খেতে হয় না
কারও জন্য ভাবতেও হয় না
শুধু নিজের জন্য ছাড়া
এখান আমরা সবাই খুব স্বার্থপর
তবুও বেশ চলে যায়।
মাটির ঘরটা ইদানীং ভাবাচ্ছে জানো
বর্ষার পানিতে ভিজে গেছে
সেদিন দেখলাম;
এপিটাফটা বেশ পরিষ্কার
১৭৯৬ লেখাটা ঝকঝকে
প্রথম কয়েক মাস এসে হাত নেড়ে দেখতে
এখন আসো না। ও গুলোই শেওলা জন্মেছে;
জন্মেছে তোমার আকাশেও!
শেষ কবে হেসেছো
অশ্রু চোখে, ভাঙা অভিমানে
মনে আছে? শেষ কবে?
জানি মনে আছে;
সেই শেষ রাতে, যখন কেঁদেছিলে
মৃত্যুলোকে আমাকে যেতে দেখে
সে থেকে বদলে গেছে অভিমান
বদলে গেছে তোমার হাসি চোখ
বয়স বেড়েছে, বুড়ো হয়েছো
চেয়ে আছো, মৃত্যুমুখে!
আমিও...........
নত আঙুলে, নীল কলমে
সবুজ পাতায়, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমিও নেই!
নইতো রোজ কবিতা লেখার ঝামেলা;
রোজ নতুন অভিজ্ঞতা ফিনিক বেদনা
আমার জন্য ভালই হয়েছে।
শোক নেই, বিশাক্ত স্মৃতি নেই
সেই চাঁদের হাসি খানাও নেই
মানে তোমার হাসি!
শেষ কবে বিকেলে হেঁটেছি
পথ মেপে, গিরিখাত
পাহাড় চূড়ায়, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমি নেই;
নইতো রোজ টি-শার্টের জন্য চিন্তা
পুরনো জুতার দুর্গন্ধের জন্য চিন্তা
তোমার জন্য ভালোই হয়েছে;
অপেক্ষা নেই, মাথায় রোদ নেই
রাতের জন্য কোন ভয়ও নেই
সাপ, বিচ্ছুর ভয়।
শেষ কবে রাত গুনেছি
সুক তারা, সাত তারা দেখে
মাঝ রাতে, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমি নেই;
নইতো তোমার গানের জন্য আব্দার
লুকোচুরি খেলার জন্য রাগ অভিমান
আমার জন্য ভালোই হয়েছে;
খেলতে নেই, মিথ্যে বলতে নেই
আবার তোমাকে হারাবার ভয়ও নেই
অন্য খানে, অন্য জগতে!
শেষ কবে আগস্টের রাতে হেঁটেছি
জোছনা মেখে, স্বপ্ন শহর ভেবে
ভেজা ঘাসে, মনে নেই।
ভাগ্যিস তুমিও নেই;
নইতো তোমার ছলনাকর পায়ে ব্যথা
দুষ্টু সুলভ কাঁধে ঘুমিয়ে পড়া
এখন এখানে এ সব নেই
তুমি নেই, সেই পৃথিবী নেই
তোমার চোখে দেখা সে জোছনা নেই
সে জীবনও নেই!
অনেক বছর কেটে গেছে
আমি ভাল আছি। এই যে দেখ
আমার ছিলে যাওয়া মাংস গুলো নেই
যে গুলো দেখে তুমি কেঁদেছিলে
ওগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে
খটখটে অস্থিমজ্জা এখন;
পোকামাকড়ের নিত্যদিনের খাবার
তুমিই একদিন আমায় খেতে চেয়েছিল
অথচ আজ দেখ!
এখানে রাত মানেই দিন
তাই ঘুমাতে হয় না
তৃষ্ণা মিটাতে হয় না
খাবার খেতে হয় না
কারও জন্য ভাবতেও হয় না
শুধু নিজের জন্য ছাড়া
এখান আমরা সবাই খুব স্বার্থপর
তবুও বেশ চলে যায়।
মাটির ঘরটা ইদানীং ভাবাচ্ছে জানো
বর্ষার পানিতে ভিজে গেছে
সেদিন দেখলাম;
এপিটাফটা বেশ পরিষ্কার
১৭৯৬ লেখাটা ঝকঝকে
প্রথম কয়েক মাস এসে হাত নেড়ে দেখতে
এখন আসো না। ও গুলোই শেওলা জন্মেছে;
জন্মেছে তোমার আকাশেও!
শেষ কবে হেসেছো
অশ্রু চোখে, ভাঙা অভিমানে
মনে আছে? শেষ কবে?
জানি মনে আছে;
সেই শেষ রাতে, যখন কেঁদেছিলে
মৃত্যুলোকে আমাকে যেতে দেখে
সে থেকে বদলে গেছে অভিমান
বদলে গেছে তোমার হাসি চোখ
বয়স বেড়েছে, বুড়ো হয়েছো
চেয়ে আছো, মৃত্যুমুখে!
আমিও...........
অমাবস্যা রূপকথা
ReplyDelete