আচ্ছা, আপনজন মারা গেলে কি খুব কষ্ট হয়? আসলে কষ্টটা কি? কষ্ট পেলে কি মানুষ কাঁদে? আচ্ছা, কষ্টটাকে কোন ভাবে মেরে ফেলা যায় না কিংবা পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া যায় না? নাকি যায়? কষ্টটা কি এমন মেরে ফেললে বা পুড়িয়ে দিলে আর ফিরে আসবে না!
গত বছর আমার বন্ধু আতিকের মা মারা গেছিল। শুনার পর থেকে আতিকের সে কি কান্না! চাবুক দিয়ে আঘাত করলে বন্দি যেরকম চিৎকার করে কাঁদে। কারও মা মারা গেলে কি সেরকম কেউ আঘাত করে? তবে দেখা যায় না কেন? সকাল বেলা দু'চোখ ফুলে মাংসের থলী তৈরি হয়ে গেছিল। বয়স কম হওয়ায় কি করবো এই ভেবেই কিছু বলতে পারিনি। মাঝে মাঝে মনে হয়েছিল, আমি কাঁদি! কিন্তু সেরকম কেউ আঘাত করেনি। সেরকম কষ্টও হয় নি।
সাইকোলজিতে একটা বিষয় আছে। মানুষের মুখ দেখে বলে দেওয়া যায় সে কিরকম আছে! আজ আমার আপন কেউ মারা গেছে। সাইকোলজির সব থিওরি দিয়ে কি আজ বলা সম্ভব, আমি কেমন আছি!
নাহ আমি কাঁদছিনা! মানুষ মরে গেলে কাঁদতে হয় এমন পৃথিবীর কোথাও নেই! কোন মানুষের মুখেও শুনিনি এমন কথা। সিগারেট নাকি কষ্ট দূর করার দারুণ ঔষধ! আপন কেউ মারা গেলে সব মানুষ সিগারেট খেয়ে দেখতেই পারে! খাটলি ধরে সবাই কাঁদা বাদ দিয়ে সিগারেট খাবে। এতে কষ্ট থাকবে না। এখন আমার কষ্ট পেলে একটা খেয়ে দেখতাম! কেমন কাজে দেয়। মানুষ বেঁচে থাকাকালীন সব পরীক্ষা করে নেয়। কাঁচা বাজারে সবজি গুলোকে ভাল করে খুতিয়ে খুতিয়ে দেখে কিনে। মানুষ খুতিয়ে দেখার কোন জিনিস আছে। খুতিয়ে দেখতাম, কোন মানুষটা জীবাণুহীন, কোন মানুষটা কতদিন বাঁচবে? সৃষ্টিকর্তা এমন বোধহয় দেন নি। দিলে আমি হিসাব করে আপনজন ঠিক করে নিতাম। ঠিক আপনজন মারা যাওয়ার একমিনিট আগে মারা জেতাম! এতে মরে যাওয়া মানুষ দেখার কষ্টটা পেতাম না। মানুষ বেঁচে থেকে স্বার্থপর হয়, আমি না হয় মরে যাওয়ার একমিনিট আগে হব!
গত বছর আমার বন্ধু আতিকের মা মারা গেছিল। শুনার পর থেকে আতিকের সে কি কান্না! চাবুক দিয়ে আঘাত করলে বন্দি যেরকম চিৎকার করে কাঁদে। কারও মা মারা গেলে কি সেরকম কেউ আঘাত করে? তবে দেখা যায় না কেন? সকাল বেলা দু'চোখ ফুলে মাংসের থলী তৈরি হয়ে গেছিল। বয়স কম হওয়ায় কি করবো এই ভেবেই কিছু বলতে পারিনি। মাঝে মাঝে মনে হয়েছিল, আমি কাঁদি! কিন্তু সেরকম কেউ আঘাত করেনি। সেরকম কষ্টও হয় নি।
সাইকোলজিতে একটা বিষয় আছে। মানুষের মুখ দেখে বলে দেওয়া যায় সে কিরকম আছে! আজ আমার আপন কেউ মারা গেছে। সাইকোলজির সব থিওরি দিয়ে কি আজ বলা সম্ভব, আমি কেমন আছি!
নাহ আমি কাঁদছিনা! মানুষ মরে গেলে কাঁদতে হয় এমন পৃথিবীর কোথাও নেই! কোন মানুষের মুখেও শুনিনি এমন কথা। সিগারেট নাকি কষ্ট দূর করার দারুণ ঔষধ! আপন কেউ মারা গেলে সব মানুষ সিগারেট খেয়ে দেখতেই পারে! খাটলি ধরে সবাই কাঁদা বাদ দিয়ে সিগারেট খাবে। এতে কষ্ট থাকবে না। এখন আমার কষ্ট পেলে একটা খেয়ে দেখতাম! কেমন কাজে দেয়। মানুষ বেঁচে থাকাকালীন সব পরীক্ষা করে নেয়। কাঁচা বাজারে সবজি গুলোকে ভাল করে খুতিয়ে খুতিয়ে দেখে কিনে। মানুষ খুতিয়ে দেখার কোন জিনিস আছে। খুতিয়ে দেখতাম, কোন মানুষটা জীবাণুহীন, কোন মানুষটা কতদিন বাঁচবে? সৃষ্টিকর্তা এমন বোধহয় দেন নি। দিলে আমি হিসাব করে আপনজন ঠিক করে নিতাম। ঠিক আপনজন মারা যাওয়ার একমিনিট আগে মারা জেতাম! এতে মরে যাওয়া মানুষ দেখার কষ্টটা পেতাম না। মানুষ বেঁচে থেকে স্বার্থপর হয়, আমি না হয় মরে যাওয়ার একমিনিট আগে হব!
No comments:
Post a Comment