টিনের ছাদে একফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি
সবটাই ভিজে ছিপছিপে হয়ে গেছে, রুক্ষতাঃ
আর তোমার পবিত্র বিছানার মত শরীর!
বুলেটের স্রোতের মত তড়িৎগতিতে
প্রস্তানের মত চকচকে রক্তপাতে;
বিন্দুমাত্র নিহিত হয়নি কলঙ্কিত রাত
কল্পনার গভীরে, কল্পনার শরীর থেকে হাড়ে
তারপর আরও একটা কল্পনা বেঁয়ে জীবনান্তে
পদ্মার হাওয়া নিয়ে আসে শেষ সূর্যাস্ত!
জীবন! সংস্কারমুক্ত কংক্রিটের কারবালায়
মরুভূমির তারকা খসে পড়ার আগুনে- উত্তপ্ত হয়
এবং শীতল হৃদয়ে আগস্ট চাঁদের উষ্ণতাতে,
গলে পড়ে অতীত প্রিয় মানচিত্র!
রুক্ষ, চূর্ণ, অপূর্ণ গোলকধাঁধার বাস্তসংস্থানে
তুষার সাদা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে
বাংলাদেশি সিরাজউদ্দোলা মনঃক্ষুণ্ণ হয়নি
নৈঃশব্দ্যের মত মর্মভেদী অস্ত্রঘাত, প্রতিঘাত
বিশ্বাসের মত বিশ্বাসঘাতক সুখের বুলড্রেজারে
ছিন্নভিন্ন মরুর মাটি আর আমার মত নভোমণ্ডলীর মৃত তারকা!
পচনশীল যোদ্ধার আক্রোশে
বুলেটের ক্রোধের মত উল্লাসে
আরও একটা সমূহ জীবন দাঁড়াতে পারে, দাঁড়ায়-
সৌধস্থলে। সুমহৎ স্মৃতির বিচ্ছেদ বিশিষ্ট মন নিয়ে,
নরকের উপকূলে যুদ্ধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে,
ব্যক্তিগত বিবেক! এখন এখানে এভাবেই
সমুদ্রের জল; তোলে আঁখি!
তারপর রোজকার মত ফিরে আসে সচ্ছ রাত্রি
শীতের ঝরা পাতা, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নীরবতা
কর্দমাক্ত জুতার তলায় বিষণ্ণ কবরখানা
আর নেশাগ্রস্থ কার্তিকের অমৃত রক্তপাত!
এরপর- তুমি দাঁড়িয়ে যাও, বিদায় নাও
সমস্ত রক্তাধ্যায় আফিমের সুগন্ধে মেলে
বিদ্রোহ আর রক্তক্ষরণের জন্য
প্রসন্ন আর প্রাচুর্যে ভরা দেহের জন্য
যেন এইমাত্র তুমি ধর্ষিত হলে
২৫ শে মার্চের ভয়াবহতা নিয়ে
অথচ, তোমার আত্মত্যাগে একটি দেশ জন্ম নিতো!
কিন্তু তুমি তা নও, তোমার বাড়িটাতে
গোলাপ, বেলি, টিউলিপ ফুলের বাসস্থান
চারিদিকে পবিত্রার সৌন্দর্যে
এতটাই বিষধর আর এতটাই বিষাক্ত যে,
যা পাহারা দেয় দুটি কার্তিকেয় কুকুর
আর আমি অপবিত্রঃ সেখানে কখনোই প্রবেশ করতে পারিনা!