এ লিরিকটা সমাজের সে সব মেয়েদের নিয়ে লেখা যাদের পরিনত বয়সের আগেই দোতলা জীবন শিকলে নগ্ন ঘরে আবদ্ধ হতে হয়েছে। স্বপ্ন পরিপক্ব হওয়ার আগেই স্বপ্ন টিকাবার জন্য যুদ্ধ করতে হয়েছে এবং করতে হচ্ছে! মানুষ সারা বছর ধরে যে সব স্বপ্ন দেখে আসে তা নিছক কিছু পূরন করতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যাদের এই নিছকি স্বাদ টুকুও পাওয়া হয় না। সমাজ, পরিবারের চাপের মুখে তারা মেনে নিতে বাধ্য হয় যে, বিয়ের পর সে সুখি হবে! বাধ্য হয়ে নিজের সব ঢেলে সাজিয়ে রাখে স্বপ্নহীন এক পুরুষের জন্য। অতীতের হাজার হাজার স্বপ্নের জানালার ফাঁকে রোদ হইতো কিছু সময় ওঠে কিন্তু বাস্তবিক ভাবে তারা সুখ খুঁজে পায় না। কোথাও যাবারও ক্ষমতা নেই। এরা সারাজীবন "নোরা"র স্বাভাবিক জীবন যাপনকে বেছে নেয়। কিন্তু নোরা'র মত সাহস দেখিয়ে বলতে পারে না, "স্বামী সংসার বাদেও আমার নিজের একটা জীবন আছে! কুচুরীপানা'র মত ভাসমান। নিজের কোন স্বপ্ন নেই। আশাও হইতো করে না। জীবন কি এরা বলতে পারবে না। লালিত স্বপ্ন গুলো আগাছা পরিত্যক্ত হিসাবে একদিন কষ্ট ডাস্টবিনে ঠাই নেয়। নিজ প্রেমিক, স্বপ্নের জন্য কিছু না করতে পারার বেদনায় জর্জরিত থাকে তাদের শুকনো উষ্ণ চোখ। লিরিকে একদিকে তাদের সেসব কষ্ট যেমন বলা হয়েছে তেমন অনুপ্রেরণাও জোগানো হয়েছে। রোজ রাতে ঘুমন্ত শিশু রেখে জানালায় চাঁদ দেখে যদি একটু শান্তি পায়!
শিরোনামঃ হাহ!
নিরব শূন্য শহর অজানা রয় তোমার ভেতর
তোমার অসাড় চোখে না পারা কান্নাতে
ভাসে পৃথিবীর সব শহর
তোমার মাঝে আলগা ভালবাসা
অজানার অনন্তকালে মিশে থাকে
নিরব থাকে অস্পষ্ট অনুভূতি
তোমার চেয়ে থাকা স্বপ্নের রাস্তাতে
ধ্বংস মিছিলের বিজয়ী সংগীত
দেখ আজ! সমাধি তোমার পালিত জীবন
তবু বাঁচিয়ে রাখে মানুষ
বাঁচিয়ে রাখে স্বপ্নের আলিঙ্গন।
তোমার কাঁচাঘরে অক্লান্ত বৃষ্টিপাতে
ভেসে যাক সব পরাশ্রয়ী কাতরতা
সূর্যের পরকালীয় অগ্নিস্নানে
বিজয়ীর মত শক্ত হোক
তোমার কমল উদারতা
তোমার অন্ধকারের মত পৃথিবীতে
জ্বালিয়ে রাখো বিসর্জনের উষ্ণতা
উৎসর্গিত মাঝ রাতে
তুমি অমর! নিজের কাছে
কেউ বলেনি, কেউ বলবে না!
আজ থাক বালিকা তোমার অতীত পৃথিবী আর বর্তমান
ইশ্বরও জমিয়ে রাখে তোমার মত কিছু অভিমান!